বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

থেকে যায় ক্রিকেট!হারিয়ে যায় নক্ষত্রের মাঝে তারা।

 
ক্রিকেটে যেমন আনন্দ দেয় আবার কস্টও দেয় কখনো সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ কিংবা শুন্য রানের হতাশা বা ক্যাচ মিস জ্বালা। তার উপর যদি একটি টুর্নামেন্টে অল্পের জন্য ম্যাচ হারা টা অনেক কস্টের হয়। উধারনস্বরুপ আমরা বলতে পারি ২০১৯ সালে ওয়ানডে ফাইনাল কথা সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডের হার ছিলো আমার দেখা সব চেয়ে বেদনার হার। 
যায়হোক আজকে যে আর হার নিয়ে কথা বলতেসি না। বলতে চাইতেসি ২০২৫ সালে এক জাক তারকা ক্রিকেটার অবসর নেওয়া,ভক্ত দের রিদয় ভাঙা কিংবা ক্রিকেট এর মায়া ছেড়ে দেওয়া নিয়ে। ২০২৫ সালে এসে এক জাক ক্রিকেট স্টার অবসর নিয়েছে যার নতুন সংযোক হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া মিচেল স্টার্ক ও পাকিস্তানের হিটার ব্যাটার আসিফ আলি। 
একটু দেখে নেওয়া যাক ২০২৫ সালে কতজন ক্রিকেটার রয়েছে অবসর তালিকায়;

নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল অলফরম্যাট থেকে অবসর।
বাংলাদেশের তামিম ইকবাল অলফরম্যাট থেকে অবসর।
ইন্ডিয়ান ভরুম আ্যরন অলফরম্যাট থেকে অবসর।
ইন্ডিয়ান ঋধি মান সাহা অলফরম্যাট থেকে অবসর।
আফগানিস্তানের শাপুর জাদরান অলফরম্যাট থেকে অবসর।
শ্রীলঙ্কার দিমুথ করুনারত্নে অলফরম্যাট থেকে অবসর।
অস্ট্রেলিয়ার মার্কস স্টোইনিস ওয়ানডে থেকে অবসর।
বাংলাদেশের মুশফিকুর রাহিম ওয়ানডে থেকে অবসর।
ইন্ডিয়ান রোহিত শর্মা টেস্ট থেকে অবসর।
ইন্ডিয়ান ভিরাট কোহলি টেস্ট থেকে অবসর।
সাউথ আফ্রিকা হেনরিচ ক্লাসেন অলফরম্যাট।
ইন্ডিয়ান পিউস চাওলা অলফরম্যাট থেকে অবসর।
উইস্ট ইন্ডিজ এর নিকোলাস পুরান অলফরম্যাট থেকে অবসর।
শ্রীলঙ্কার এঞ্জেলো ম্যাথুস টেস্ট থেকে অবসর।
অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মীথ ওয়ানডে থেকে অবসর।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ওয়ানডে থেকে অবসর।
আন্দ্রে রাসেল অলফরম্যাট থেকে অবসর।
ইন্ডিয়ান চেতেশ্বর পুজারা অলফরম্যাট থেকে অবসর
অস্ট্রেলিয়া মিচেল স্টার্ক টি-টুয়ান্টি থেকে অবসর।
পাকিস্তানের আসিফ আলি অল ফরম্যাট থেকে অবসর।

অবসর নেওয়া তালিকায় সব চেয়ে বেশি ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ছয় জন, তারপর রয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, উইস্ট ইন্ডিজ দুইজন করে এবং অস্ট্রেলিয়া তিন জন রয়েছে,আফগানিস্তানের,পাকিস্তানের একজন করে আছে,
ক্রিকেটের জন্য সব চেয়ে আফসোস বিষয় হচ্ছে ভিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা অবসর এবং হার্ড হিটিং জন্য খ্যাত ম্যাক্সওয়েল ও আন্দ্রে রাসেল এর বিদায়। তারা তো আর সারাজীবন খেলতে পারবে কিন্তু তারের খেলা ভক্ত মনে আজীবন থাকবে। এই জন্য বলা বাহুল্য ক্রিকেট থাকে সব সময় কিন্তু সারাজীবন না।

মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সুইং ইয়োর্কার মিচেল স্টার্ক অস্ট্রেলিয়া লিজেন্ড টি-টুয়ান্টি থেকে বিদায়

 
মিচেল স্ট্রাক অজি কিংবদন্তি বোলার আধুনিক ক্রিকেটে তার বলে আউট হয়নি এমন ব্যাটার মনে হয়না বাদ যায়নি দুর্দান্ত ইয়োর্কা কিংংবা বাতাসে সুইং করিয়ে ইং সুইং কিংবা আউট সুইং কোন কিছুই বাদ নেই এই লিজেন্ড বোলারের

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তিনি আন্তর্জাতিক টি-টুয়ান্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। মুলত টেস্ট এবং ২০২৭ সালে বিশ্বকাপে জন্য তিনি অবসর নিয়েছেন। ৬৫ টি ম্যাচ খেলে ৭৯ টি উইকেট নিয়েছে। যার গড় ছিলো ২৩.৮ সর্বোচ্চ ২০/৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি টি-টুয়ান্টি তে তার উপরে শুধু রয়েছে আ্যডাম জাম্পা।

আর দেখা জাবেনা তার বিখ্যাত সুইং ইয়োর্কার মিস করবে ক্রিকেট ফ্যান ফলোয়ার রা। মিচেল স্টার্ক বলেছেন বিডি ক্রিকটাইম ডট কম তথ্য অনুযায়ী, টেস্ট ক্রিকেট আমার কাছে সব সময় প্রধান গুরুত্ব। অস্ট্রেলিয়া হয়ে টি-টুয়ান্টি খেলা সব সময় উপোভোগ করেছি বিশেষ করে ২০২১ সালের টি-টুয়ান্টি বিশ্বকাপ। শুধু আমরা জিতেছি বলে নয় পুরো যাত্রাটায় দারুন ছিলো।

সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শোয়েব আখতারের গতি আর বাউন্স যে বাংলাদেশের ব্যাটারের কাছে পরাজিত হয়েছিলো?

 
বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট স্টাটাস পাই ২০০০ সালে। অনেক ইতিহাস রয়েছে টেস্টে ক্রিকেট ঘিরে। ইন্ডিয়া মতন টিমের বিপক্ষে নাইমুর রহমান দুর্জয় পাচ উইকেট কিংবা আমিনুল ইসলাম বুলবুল এর সেঞ্চুরি সব কিছু যেন টা ইতিহাস। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট এ বাংলাদেশের ব্যাটার দের গতিময় পেসারদের সামলাতে অনেক সময় হিমসিম খেতে হয়েছে। তখন খার সময়ে চাইতে এখন খার সময় অনেক উন্নত হয়েছে ব্যাটার দের গতিময় বাউন্সার কিংবা আগুন ঝরা গতি ব্যাটে বল খেলতে তখন খার সময় অনেক টাই হিমশিম খেত। 

একটি দল কে ধরি যেমন পাকিস্তান সাথে বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচে সে সময় ওয়াকার ইউনিস শোয়েব আখতার ওয়াসিম আকরাম তরুম মোহাম্মদ সামি দের গতি আর বাউন্স সামলাতে বিশ্বের সব ব্যাটার রাই হিমশিম খেত ঠিক তেমন এই ছিলো ননবাগত দল বাংলাদেশ ও। 

তবে হাবিবুল বাশার সাথে একটি জায়গায় অমিল পাওয়া যায় বিশেষ করে শোয়েব আখতার সাথে। যেখানে শোয়েব কে ভয় পেত সেখানে হাবিবুল বাশার তার বিপক্ষে সাবলিল ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশিদের মধ্যে। একটু দেখে নেয়া যাক কেমন ছিলো তাদের ব্যাটেল।

টেস্টে শোয়েব আক্তারের বিপক্ষে হাবিবুল বাশার-

রান- ৯৫
বল- ১০২
আউট- ১
ডট- ৬৭
চার- ১৬
ছয়- ০
গড়- ৯৫.০
স্ট্রাইক রেইট- ৯৩.১

তার মানে বুঝা জাচ্ছে হাবিবুল বাশার কতটা সাবলিল ছিলো। হাবিবুল বাশার শোয়েবের বিপক্ষে খেলেছে মোট তিনটি টেস্টে । ২০০২ সালে প্রথমবার শোয়েবের মোকাবেলা করে ১৭ বলে ৫ চারে ২৩ রান নেন বাশার। ২০০৩ সালে শোয়েবের ৮৫টি বল মোকাবেলা করে ৭২ রান নেন বাশার, চার মারেন ১১টি।

আমার এখনো মনে আছে শোয়েব আখতার বলে গারি কার্স্টেন গাল ফেটে ছিলো সৌরভ গাঙুলি বুকে বল লেগেছিল কিংবা বায়ান লারা পায়ে বল লাগার পর আর ব্যাট করতে পারেন নি সেখানে টেস্টে শোয়েব আক্তারের বিপক্ষে হাবিবুল বাশারের ব্যাটিং গড় ৯৫! স্ট্রাইক রেইট ৯৩.১। বাংলাদেশের সাবেক ক্যাপ্টেন এর মিস্টার ফিফটি বলে পরিচিত হাবিবুল বাশার পাকিস্তানের গতি দানব শোয়েব আক্তারের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ছিলেন উজ্জল। শোয়েব আক্তারের বিপক্ষে ১০২টি বল মোকাবেলা করে মাত্র ১ বার আউট হয়েছেন বাশার। 
ভাবা যায় জাকে কিনা বাঘের মতন ভয় পায় সবাই তার সাথে চোখে চোখ রেখে ব্যাট হাতে জবাব দিয়েছিলেন আমাদের হাবিবুল বাশার সুমুন।

থেকে যায় ক্রিকেট!হারিয়ে যায় নক্ষত্রের মাঝে তারা।

  ক্রিকেটে যেমন আনন্দ দেয় আবার কস্টও দেয় কখনো সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ কিংবা শুন্য রানের হতাশা বা ক্যাচ মিস জ্বালা। তার উপর যদি একটি টুর্নামেন্...