সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫

দাবানলে পুড়ছে আমেরিকা ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদ কে পুড়ালো বার্সেলোনা


 

স্প্যানিশ সুপার কাপ ২০২৫-এর ফাইনালে বার্সেলোনা রিয়াল মাদ্রিদকে - গোলে বিশাল।

ব্যাবধানে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছে। রোববার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫; সৌদি আরবের জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে এই এলক্লাসিকো ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচের শুরুতে ৫ মিনিটের মাথায় কিলিয়ান এমবাপ্পে গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে যায়। কিন্তু বেশিক্ষন এই লিড ধরে রাখতে পারিনি রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচের ২২তম মিনিটে স্পানিশ কিড লামিনে ইয়ামাল বার্সেলোনার পক্ষে সমতা ফেরান। এরপর আবারো বার্সালোনা আঘাত এবার পেনাল্টি থেকে গোল করে বসেন লেভানদোভস্কি ম্যাচের ৩৬ মিনিটে বার্সাকে ২- ১ এগিয়ে নিয়ে জান। ৩৯তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ব্লাড রাফিনিয়া দুর্দান্ত হেডের মাধ্যমে তৃতীয় গোল করেন। এরপর প্রথমার্ধের শেষে অতিরিক্ত সময়ে আলেহান্দ্রো বালদে চতুর্থ গোল করেন। ৪ – ১ গোল লীড নিয়ে প্রথমার্ধের খেলা শেষে বিরতি তে যায় বার্সা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ খেলা এখনো বাকি ছিল অনেকেই হয়তো ভেবেছিল   রিয়েল মাদ্রিদ তাদের চিরোচেনা ক্যামব্যাক করবে। হলোটা কি উলটো গোল খেয়ে বসলো রিয়েল মাদ্রিদ দ্বিতীয়ার্ধ শুরুতে ৪৮তম মিনিটে রাফিনিয়া নিজের দ্বিতীয় এবং দলের পঞ্চম গোল করেন। আর তখনি সব কিছু শেষ হয়ে যায় রিয়েল মাদ্রিদ শিরোপা জয়ের  স্বপ্ন পুরন । কিন্তু এল ক্লাসিকো বলে কথা ৫৬তম মিনিটে বার্সার গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে এবং ফ্রি-কিক থেকে রদ্রিগো রিয়ালের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করলে মনে হচ্ছিলো ক্যামব্যাক করবে মাদ্রিদ। পুরো ম্যাচ বিশ্লেষন করলে দেখা যায়

বার্সেলোনার আক্রমণভাগ রাফিনিয়া, লেভানদোভস্কি এবং ইয়ামালের সমন্বিত আক্রমণ রিয়ালের রক্ষণভাগকে চাপে রাখে। অন্যদিকে

রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণভাগ প্রথম গোলের পর রক্ষণে দুর্বলতা প্রদর্শন করে, যা বার্সার আক্রমণভাগ কাজে লাগায়। এই দিকে বার্সার রক্ষণভাগ শুরুতে এলোমেলো থাকলেও পরবর্তিতে তা ঠিকভাবে সামলিয়েছে এমনকি  গোলরক্ষকের লাল কার্ডের পরেও সংগঠিত ছিল, যা রিয়ালকে আরও গোল করতে বাধা দেয়।এই জয়ে বার্সেলোনা স্প্যানিশ সুপার কাপে তাদের ১৫তম শিরোপা অর্জন করল। এবং রিয়েল মাদ্রিদ থেকে দুইধাপ এগিয়ে গেলো শিরোপা জয়ে।

ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ  কার্লো আনচেলত্তিবলেন “আমি এটা জানতাম এই গেমটি জিততে হলে আমাদেরকে ভালোভাবে রক্ষা করতে হবে। আমরা খারাপ ডিফেন্ড করেছি, তাই হেরেছি”।

 অন্যদিকে বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেন; আমি আমার দল নিয়ে আমি গর্বিত। প্রতিটি ম্যাচ থেকে আমাদের শিখতে হবে সব কিছু পর্যবেক্ষন করতে হবে। আমি বলব এখন অনেক জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। আমাদের গোল রক্ষক লাল কার্ড দেখার পর কাজটা এতো সহজ ছিলোনা। আমি আমার ডিফেন্স নিয়ে সন্তুষ্ট।

 

 

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বাবার ঘামেই গড়া তারকা, অথচ বাবার জীবনে নেই তারকার আলো!

  একজন বাবা তার সন্তানের জন্য কি না করে হোক বড়লোক বা গরিব কিন্তু বাবাতো বাবায় ছেলের আবদার পুরুন করতে কি না করে। কখনো খেয়ে আবার না খেয়ে সবার৷...