খাদের কিনারা থেকে দলকে উঠানোর ক্ষমতা যার
হাতে তিনি হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। একটি দলকে যতবার খাদের কিনারায় পরেছে ততবার সেই কিনারা
থেকে দলকে উঠিয়ে এনেছে বার বার। হোক সেটা বোলিং কিংবা ব্যাটিং। ক্যারিয়ারে পরন্ত বিকেলে
এসে আজ তিনি ছন্ন ছাড়া রাজনৈতিক কারনে দেশে আশা এক প্রকার মানা জার কারনে বিপিএল খেলতে
পারে নাই।এই দিকে কিছুদিন আগে বোলিং একশনের কারনে আন্তর্জাতিক ভাবে নিষিদ্ধ ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড
(বিসিবি) ২০২৫ সালের
আইসিসি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির
জন্য
১৫
সদস্যের দল
ঘোষণা
করেছে,
যেখানে
সাকিব
আল
হাসান বাদ পড়েছেন।সাকিবের বাদ
পড়ার
অন্যতম প্রধান কারণ
হিসেবে
তার
বোলিং
অ্যাকশন পরীক্ষায় ব্যর্থতাকে দায়
করা
হয়েছে। চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত বোলিং
অ্যাকশনের পরীক্ষায় তিনি
দ্বিতীয়বার সরাসরি ব্যর্থ হন,
যা
তার
বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞার কারণ
হতে
পারে।
শুধু
ব্যাটসম্যান হিসেবে
তাকে
দলে
রাখা
সম্ভব
হয়নি
বলে
নির্বাচকরা জানিয়েছে।
তবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কোয়াডে পরিবর্তনের সুযোগ
রয়েছে,
তাই
ভবিষ্যতে পরিস্থিতি পরিবর্তন হলেও হতে পারে।
কিন্তু যদি পরিবর্তণ হয় তাহলে সেটা
সাকিব কে দলে নেওয়ার সুজোগ নেই কেননা রাজনৈতিক ইস্যু কারনে তাছাড়া বিসিবি তরুন
খেলোয়ার প্রতি বেশি নজর দেবার কারনে হয়তো সাকিব আল হাসান কে স্কোয়াড সুজোগ না
দেওয়ার পক্ষেই থাকবেন কোচ ও নির্বাচক প্যানেল রা।
এই দিকে সাকিব আল হাসানের বাদ
পড়া
নিয়ে
ভক্তদের মধ্যে
ক্ষোভ
দেখা
দিয়েছে, যা
মিরপুরে প্রতিবাদের রূপ
নিয়েছে। তার হাজার হাজার ভক্ত অনুরাগী এসে
তিব্র প্রতিবাদ করেছে। তার ক্যারিয়ার ইতি এইভাবে ঘটবে এটা তার ভক্তরা কোনভাবেই
মেনে নিতে পারছেনা।
সাকিব আল হাসান চ্যাম্পিয়ন্স
ট্রফির মতো একটি বড়
আসরে ডাক না পাওয়া
অনেক কারন থাকতে পারে।যার ফলে
এটি বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তদের জন্য বড় ধরনের
বিস্ময়ের বিষয় হতে পারে। নরমালি
সাকিবের অভিজ্ঞতা এবং অলরাউন্ড পারফরম্যান্স
বাংলাদেশ দলের জন্য অমূল্য
সম্পদ সব সময় ছিলো। তবে
তাকে দলে না নেয়ার
পেছনে কিছু যুক্তি থাকতে পারে, যেমন:
1. ইনজুরি সমস্যা: যদি সাকিব আল
হাসান শারীরিকভাবে ফিট না থাকেন
বা ইনজুরির কারণে খেলতে না পারেন, তবে
তাকে দলে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ
হতে পারে।
2. ফর্মের ঘাটতি: সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যদি প্রত্যাশা অনুযায়ী
না হয়, তবে নির্বাচকরা
নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে পারেন।
3. ব্যক্তিগত কারণ: ব্যক্তিগত কোনো কারণে যদি
সাকিব টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে অপারগ হন,
তাহলে তাকে দলে না
রাখা হতে পারে।
4. কৌশলগত সিদ্ধান্ত: কোনো নির্দিষ্ট কৌশলগত
কারণে নির্বাচকরা ভিন্ন ধরনের কম্বিনেশন ট্রাই করতে চাইলে অভিজ্ঞ
খেলোয়াড়দের বাদ দেয়ার সম্ভাবনা
থাকে।
এই বিষয়ে সঠিক কারণ জানার
জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বা সাকিব আল
হাসানের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক
বিবৃতি গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিসিবি একটি সূত্র জানিয়েছে
ব্যাটার হিসেবে সাকিব আল হাসান কে চাচ্ছেনা দলে । যেহুতো সাকিব বোলিং করতে পারবে
না সেহুতো তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের
একজন প্রখ্যাত অলরাউন্ডার,নয় বাংলাদেশ ক্রিকেট প্রান ভোমরা
ছিলেন অন্তত তার টেস্ট, ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি—তিন ফরম্যাটেই অসাধারণ
পারফরম্যান্স তাই প্রমান করে করে।
টেস্ট ক্রিকেট:
ম্যাচ সংখ্যা: ৭১
রান:
৪,৬০৯
সর্বোচ্চ স্কোর: ২১৭
ব্যাটিং গড়: ৩৮.০০
উইকেট: ২৪৬
সেরা বোলিং: ৭/৩৬
বোলিং গড়: ৩১.৭২
ইকোনমি রেট: ২.৯৯
ওডিআই (একদিনের আন্তর্জাতিক):
ম্যাচ সংখ্যা:২৪৭
রান:
৭,৫৭০
সর্বোচ্চ স্কোর: ১৩৪
ব্যাটিং গড়: ৩৭.০০
উইকেট: ৩১৭
সেরা বোলিং: ৫/২৯
বোলিং গড়: ২৯.৫৩
ইকোনমি রেট: ৪.৪৭
টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক:
ম্যাচ সংখ্যা: ১২৯
রান: ২,৫৫১
সর্বোচ্চ স্কোর: ৮৪
ব্যাটিং গড়: ২৩.০০
উইকেট:
১৪৯
সেরা বোলিং: ৫/২০
বোলিং গড়: ২০.৯২
ইকোনমি রেট: ৬.৮১
সাকিব আল হাসান তার
ক্যারিয়ারে ব্যাটিং ও বোলিং উভয়
ক্ষেত্রেই ধারাবাহিকভাবে সফলতা অর্জন করেছেন, যা তাকে বিশ্বের
অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে
প্রতিষ্ঠিত করেছে। কিন্তু এতো কিছু পরেও তার
অবদান কে ভুলে গিয়েছে বিসিবি ও বর্তমান অন্তবর্তি সরকার । চাইলে তাকে সুজুগ করে
দিয়ে এই রকম একজন কিংবদন্তী বিদায় রঙিন ভাবে শেষ করতে পারতো। তবে এই ক্ষেত্রে
সাকিব ও দোষ রয়েছে কেন তিনি রাজনিতি তে জড়ালেন । জুলাই মাসে আওয়ামী লীগ যে গনহত্যা
চালিয়েছিলো সেখানেও তিনি নিরব ছিলেন। পরে অবশ্য তা নিয়ে মুখ খুললেও তা অনেক দেরি
হয়ে গিয়েছিল। আফসোস করে বলতে হয়
“যেকথা বলেছো না বুঝে আমাকে
সেকথা নীরবে কাদাবে তোমাকে
ভাবিনি কখনো তোমাকে হারাবো
এভাবে জীবনে একা হয়ে যাবো
ফাগুনের গানে নেই কোনো মানে
সঙ্গী হারানো ব্যথা ভরা প্রাণে”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন