বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট: মাঠের বাইরে লড়াইয়ের গল্প
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে জায়গা পাওয়া মানেই শুধু ব্যাট-বলের দক্ষতা নয়, শারীরিক সক্ষমতাও বড় পরীক্ষা। প্রতিটি সিরিজ বা টুর্নামেন্টের আগে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) খেলোয়াড়দের জন্য বাধ্যতামূলক ফিটনেস টেস্ট আয়োজন করে। এই টেস্টে পাশ করলেই মিলবে স্কোয়াডে খেলার সবুজ সংকেত।
কেন এই ফিটনেস টেস্ট করা হয়?
আধুনিক ক্রিকেটে ফিটনেস শুধু চোট এড়ানোর জন্য নয়, বরং পারফরম্যান্স ধারাবাহিক রাখতে অপরিহার্য। গরম আবহাওয়া, দীর্ঘ ইনিংস, টানা বোলিং—সবকিছুতেই প্রয়োজন শক্তিশালী শরীর ও মানসিক সহনশীলতা।
কোন কোন পরীক্ষা নেওয়া হয় যাতে ফিটনেস উত্তীর্ণ হতে পারে?
1. ইয়ো-ইয়ো টেস্ট – খেলোয়াড়দের দৌড়ের গতি ও সহনশীলতা মাপা হয়।
2. ২ কিমি রান টেস্ট – নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ২ কিমি দৌড় সম্পন্ন করতে হয়।
3. বিপ টেস্ট – ধাপে ধাপে স্পিড বাড়িয়ে দৌড়, যা কার্ডিও ফিটনেস যাচাই করে।
4. স্ট্রেংথ ও ফ্লেক্সিবিলিটি চেক – জিমে ওয়ার্কআউট ও বডি ফ্লেক্স মাপা হয়। ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি
সিরিজ শুরুর আগেই খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত ট্রেনার ও ডায়েট প্ল্যান মেনে অনুশীলন করেন। জিম সেশন, স্প্রিন্ট রান, সাইক্লিং, যোগব্যায়াম—সব মিলিয়ে একটি নির্দিষ্ট রুটিন থাকে।
ব্যর্থ হলে কী হয়?
ফিটনেস টেস্টে ফেল মানেই সরাসরি স্কোয়াডের বাইরে। অতীতে একাধিক খেলোয়াড় এই কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন। তবে বিসিবি সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে পুনরায় টেস্টের সুযোগ দেয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফিটনেস এখন আর অতিরিক্ত শর্ত নয়—এটি মূল অস্ত্র। যত ভালো ফিটনেস, তত বেশি ধারাবাহিক পারফরম্যান্স। মাঠের লড়াই শুরুর আগেই তাই শুরু হয় অদৃশ্য এক দৌড়—ফিটনেস টেস্টের দৌড়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন